পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০১০

আমি আর নীলাঞ্জন

একদিন এক ময়ূরাক্ষী মেয়েকে বললাম
পিয়ারী, তোমাকে ভালবাসি। ভালবাসি তোমার হাসি, কটাক্ষ আর ছলনা।
থুতনিতে তোমার একটি হাত, কপালের চুল সরাতে ব্যস্ত তোমার একটি আঙুল
ভালবাসি তোমার নিরবতা, কিংবা মুখরতা, যাই হোক।

সে মেয়েকে খেয়ে নিল সমাজের বাঘ
প্রশ্ন করলে বলল, চুপ কর হারামজাদা, তোদের পিয়ারী থাকতে নেই।

একদিন নদীকে বললাম
তোমার এই স্রোত, ঘূর্ণিপাক, ঢেউ
আমি বিশুদ্ধ করে দেব। তোমার ঘাটে লোভ কালকে অতিক্রম করেছে,
তোমার হিংসাতুর বাঁকে বাসা বেধেছে বুড়ো কাকের ঘৃণারা,
আমি তাদের রুখে দেব
কাশফুল দিয়ে, দখিনা বাতাস দিয়ে, চাঁদের আলোয় উড়ন্ত গাংচিল
আর একাকী ভোরের মাস্তুলে একটি খেয়ালি ফড়িং, তোমাকে দেব।

সে নদীকে খেয়ে নিল সভ্যতার বান
প্রশ্ন করলে বলল, চুপ কর বেয়াদব, তোদের কোনো নদী নেই।

একদিন তোকে নীলাঞ্জন, পাশে নিয়ে হাটতে হাটতে বললাম
তুই আর আমি, আমি আর তুই
দুইজনে কোন মায়ায় কাটিয়ে দিলাম একটা জীবন
তুই আর আমি, আমি আর নীলাঞ্জন?

আমার কাঁধ থেকে হাত নামিয়ে বললি, থাক না এসব
তুই, আমার যে বন্ধু ছিলি নীলাঞ্জন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন