পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১০

প্রকৃতির ঈশ্বর

"The best way to predict the future is to invent it" - থিওডর হুক 
 
এত কিছু থাকতে ভবিষ্যৎ নিয়ে পড়লাম কেন? পড়লাম কারণ, সেটাই তো আমাদের টেস্টিং গ্রাউন্ড। কে সঠিক আর কে ভুল, কে অস্ত্বিত্বহীন আর কে নিয়ন্তা, কে টেকসই আর কে ফুটোকড়ি – ভবিষ্যতই তো আমাদের বলতে পারে। অতীতকে নানাভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়, কিন্তু এক্সট্রাপোলেশন করে সঠিক আন্দাজ কয়জনই বা করতে পারে?
 
ভবিষ্যৎ আসে প্রাকৃতিক নিয়মে, এখন পর্যন্ত মানুষ ভবিষ্যতকে পুরোপুরি গড়তে শিখে নি। তবে মানুষ নিরন্তর যেটা শিখছে তা হলো প্রকৃতির অনুকরণ, ইমিটেশন অফ নেচার। এই শেখাটা সে শিখছে প্রকৃতির কাছ থেকেই, তাকে পর্যবেক্ষণ করে। একটা সময় ছিল যখন এর মূল কারণ ছিল স্রেফ টিকে থাকা। মানুষ টিকে গেছে। কিন্তু তার শেখার নেশা তাকে ছাড়ে নি। টিকে থাকার পর এসেছে আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাসিতা। তারপরও মানুষ আরো শিখতে চায়, জানতে চায়। কিন্তু মহাবিশ্বের গোপন রহস্য জেনে তার কী লাভ? জানার এই প্রবৃত্তির উৎস কী?
 
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা পদার্থবিদ মানা হয় রিচার্ড ফাইনম্যানকে। তার মতে, যখন আপনি এমনকিছু নিয়ে চিন্তা করেন যেটা আপনি ঠিক ঠাউরে উঠতে পারছেন না (যে ব্যাপারটা আসলে কী) তখন দেখবেন আপনার মধ্যে একধরনের দুর্বিষহ অস্বস্তিকর অনুভূতি হচ্ছে। এটাই হচ্ছে কনফিউশন। কনফিউশন বা বিভ্রান্তি হচ্ছে এক চরম কষ্টের অনুভূতি যার কারণেই আপনি অসুখী শালার কি এমন জিনিস যে বুঝি না! সম্ভবত দুনিয়ার অন্য কোনো প্রাণির ক্ষেত্রে এই ‘বিভ্রান্তি’ কোনো সমস্যা তৈরি করে না। আর তাই তারা বিভ্রান্ত হয়ও কম আর হলেও সাথে সাথে সেটা দূর করার ঝামেলায় যায় না। কী দরকার বাবা লাইফটাকে অযথা কমপ্লিকেটেড করে!
 
অন্য প্রাণিদের এই যে ‘ড্যাম কেয়ার’ এটিচ্যুড এটা কিন্তু মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়েই এসেছে। না হলে এই দুনিয়ার বুকেই আজ মানুষের থাকত হাজারো প্রতিন্দ্বন্দ্বী। কল্পনা করুন অবস্থাটা! প্রকৃতির নানান খেয়ালে বিভ্রান্ত প্রাণিরা চিন্তা করছে, নানান জ্ঞানের সমাবেশ ঘটছে মাকড়সার মাথায়, পাখিদের মস্তিষ্কে, ফড়িংয়ের জগতে, মাছের রাজ্যে। হয়তো ডলফিনেরা আটলান্টিকের তলায় গড়ে তুলছে কোনো পাতাল ঢাকা, প্যারিস কিংবা পাতাল নিউইয়র্ক! একবার ভাবুন - আমরা যেমন সাগরতলের রহস্য ভেদ করতে অক্সিজেন মাস্ক নিয়ে ডুব দেই, তেমনি ডলফিনেরাও বায়ুজগতের রহস্য উন্মোচন করতে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে ওদের আবিষ্কৃত কোনো ওয়াটার মাস্ক পড়ে! ভাগ্যিস, বাস্তবে সেটা হয় না! সমস্ত প্রাণিজগতের চেয়ে মানুষ এতটাই এগিয়ে যে নিজের যোগ্য প্রতিন্দ্বন্দ্বী খুঁজতে তাকে মহাবিশ্বের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। ব্যাপারটা আশ্চর্যজনক যে বুদ্ধিমান এলিয়েনরা সব বাস করে ভিনগ্রহে!
 
মানুষ বিভ্রান্ত হয় কিন্তু বেশিক্ষণ বিভ্রান্ত থাকতে চায় না। একটা না একটা যুক্তি, বিশ্বাস কিংবা আশা তাকে বিভ্রান্তির চোরাগলি থেকে বের করে নিয়ে আসে। গ্রামের যে অশিক্ষিত ভোটার তারো দেখবেন ভোটের সময় নিজস্ব একটা পছন্দ আছে। ধরে নিন, সব প্রার্থীই খারাপ। ফলাফল- ভোটার বিভ্রান্ত। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের উপায় – যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের বিভ্রান্তি দূর করা। যে কারণে সে প্রার্থীদের এমন একটা ভালো দিকের কথা চিন্তা করতে শুরু করে যেটার ভিত্তিতে কাউকে বেছে নেয়া যায়। হয়ত দেখা গেল কোনো একজন প্রার্থী অন্যদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত গরিব। তখন তার দরিদ্রতাই একটা গুণ হিসেবে আবির্ভূত হয়, কারণ ভোটার নিজেও গরিব। ফলাফল - বিভ্রান্তির অবসান।
 
একটা সাপও কিন্তু বিভ্রান্ত হতে পারে, হয়ত মানুষ দেখে কিংবা হঠাৎ ভূমিকম্প হলে। ফলাফল – সে হয় গর্তে লুকায়, না হয় দাঁতের গোড়ায় বিষ জমা করে। তার মস্তিষ্কে একটাই জিনিস প্রোগ্রাম করা – শত্রু নাগালের মধ্যে থাকলে দংশন কর। অন্য কোনো উপায় তার মাথায় আসে না। পুরো প্রাণিজগতেরই একই অবস্থা। হাজার বছর ধরে অতিথি পাখিরা কষ্ট স্বীকার করে শীত থেকে বাঁচতে পুরো একটা মহাদেশ পাড়ি দেয় কিন্তু এর চেয়ে সহজ কোনো উপায় বের করে না। মহা ধুরন্ধর যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সেও পর্যন্ত কখনো বন্দুক নিয়ে হরিণ শিকারে বের হতে পারে নি। শিম্পাঞ্জী খাবার না পেলে বিভ্রান্ত হয়, কিন্তু তাকে এখন পর্যন্ত ধান চাষ করতে দেখা যায় নি কোথায়ো।
 
কিন্তু মানুষের একটা অসাধারণ ব্যাপার আছে। বিভ্রান্ত হলে মানুষের সৃষ্টিশীলতা বেড়ে যায়। আগুন আবিষ্কারের ব্যাপারটাই ধরুন। বজ্রপাতের ফলে যখন বনে আগুন লাগে তখন প্রকৃতির এমন কীর্তি দেখে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। এ কীভাবে সম্ভব? সূর্য ছাড়াই চারদিক আলোকিত হয়ে যায়, রোদ ছাড়াই তাপ ছড়িয়ে পড়ে, হিংস্র প্রাণিরা পর্যন্ত দূরে সরে যায়। কিন্তু তার সৃষ্টিশীল মন বলে, একে আমার আয়ত্ত করতে হবে। তাহলেই রাতের অন্ধকার দূর করার, শীতের হাত থেকে বাঁচার আর বন্যজন্তুকে ভয় দেখিয়ে দূরে রাখার একটা চমৎকার উপায় হবে। জেগে উঠে মানুষের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, ঝড়ের রাতে গর্তে না লুকিয়ে সে চোখ খোলা রাখে কীভাবে আগুন লাগে সেটা শিখতে। সে দেখে কেবল ঝড়ের সময়েই না, রোদেলা দুপুরে দুটো শুকনো ডালের ঘষাঘষিতেও আগুন লাগে, দুটো পাথর নিয়ে ঠুকাঠুকি করলেও আগুন লাগে।
এই করে আজকে দেখুন মানুষ কয়েকশো উপায়ে আগুন জ্বালাতে পারে।
 
কোনো কিছু অনুকরণ করতে হলে প্রথমে পর্যবেক্ষণ করতে হয়, তারপর এর পেছনের ব্যাখ্যাটা বুঝতে হয়, ব্যাখ্যাটা সঠিক হলে তাকে আমরা বলি জ্ঞান। এই জ্ঞানের প্রয়োগই আমাদের সাহায্য করে প্রকৃতির যথার্থ অনুকরণ করতে। এক সময় মানুষ এ পর্যন্তই সুখী ছিল। কিন্তু যতই তার পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা বাড়ছে, যতই সে বেশি ব্যাখ্যাযোগ্য দৃষ্টিতে পৃথিবীকে দেখতে শিখছে, ততই সে চাচ্ছে ভবিষ্যতকে আরো নিখুঁতভাবে এবং সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করতে।     
 
এ কারণেই আজকে আমরা ড্যান ফকের ‘ইউনিভার্স অন এ টি-শার্ট’  নামের বইটা পড়ে খুব বেশি আশ্চর্য হই না। মনে হয়, এটাই তো স্বাভাবিক। বইটার শুরু হয়েছে পদার্থবিদ লিওন লেডারম্যানের একটা উক্তি দিয়ে, ‘আমার বড় আশা যে জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারবো জগতের সবকিছুই একটিমাত্র সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে -সূত্রটা এত চমৎকার আর এতটাই সাধারণ যে তাকে অনায়াসেই একটা টি-শার্টের বুকে লিখে ফেলা যায়’। এই হলো ‘ইউনিভার্স অন এ টি-শার্ট’। ড্যান এরিস্টটলের সনাতন ভাবনার যুগ থেকে শুরু করে পরবর্তী যত বড় বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার যেমন আপেক্ষিকতার সূত্র, কোয়ান্টাম বলবিদ্যা, এমনকি হালের স্ট্রিং তত্ত্ব পর্যন্ত ভাজাভাজা করে খেয়ে ফেলেছেন। কারণ একটাই– সমসাময়িক পদার্থবিদ্যার রথী-মহারথীরা যে একটিমাত্র সূত্র দিয়ে জগতের সবকিছুকে ব্যাখ্যা করার থিউরি খুঁজছেন তার স্বরূপ উন্মোচন করা।
 
এই করে আদতে লাভ কী? আসলে একটা প্যারাডাইম শিফট হচ্ছে, আমাদের জ্ঞাতিসারে কিংবা অজ্ঞাতে, জানার ভেতরে কিংবা অজান্তে। কৌতূহল নিবারণের যুগ পেরিয়ে প্রকৃতির সন্তান মানুষ এখন প্রকৃতিকেই টেক্কা দিতে চায়। মানুষ বুঝে ফেলেছে যে যা কিছু প্রাকৃতিকভাবে ঘটে তার সাথে তার নিজের ভবিষ্যতকে গড়ে নেয়ার অক্লান্ত প্রচেষ্টার মধ্যে একটা বৈশিষ্ট্যগত মিল আছে। আর সেই মিলটাই প্রকৃতি আর মানুষ, পরিবেশ ও মানবজাতিকে করে তুলছে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এভাবে চিন্তাটা এগিয়ে নেয়া যায়। বিজ্ঞানের অনেক শাখাতেই মানুষ আজ একটি পরীক্ষা চালানোর আগেই নিখুঁতভাবে তার ফলাফল বলে দিতে পারে। মানুষ এখন অসংখ্য ঘটনার পুংখানুপুংখ ফলশ্রুতি জানে। এর মানে সে খুব সীমিত পরিসরে হলেও ভবিষ্যতকে একটা নির্দিষ্ট পথে পরিচালিত করতে পারে যে পথের আগাগোড়া তার জানা। লজিকটা এরকমঃ যা ঘটছে তার সঠিক ব্যাখ্যা সে করতে পারে > সে নতুন জ্ঞান তৈরি করতে পারে > সেই তাত্ত্বিক জ্ঞানকে ফলিত জ্ঞানে রূপান্তর করতে পারে > সে সৃষ্টি করতে পারে > সে স্রষ্টা।
 
একটা উদাহরণ দেয়া যায়। ভবিষ্যতের মানুষ কি পারবে প্রকৃতির মত প্রাণের জন্ম দিতে, তার বিকাশ ঘটাতে এবং তাকে একটা সুনির্দিষ্ট ভবিতব্যের পথে পরিচালিত করতে? সাম্প্রতিককালে ক্রেগ ভেন্টরের নাম আপনারা অনেকেই শুনেছেন, যাকে জিনোমিক গবেষণাক্ষেত্রে একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম দিকপাল হিসেবে ভাবা হয়। তিনি ও তার গবেষক দল ল্যাবরেটরিতে তৈরি করেছেন জগতের প্রথম কৃত্রিম সত্তা (synthetic life form)। যেহেতু এই বিষয়ে গবেষণা আমার জানাশোনার বাইরে, তাই বিশদ ব্যাখ্যায় যাবো না। শুধু তার ঘোষণার কয়েকটা লাইন তুলে ধরছি – ‘...প্রথম সিনথেটিক বা কৃত্রিম কোষ, একটা কোষ যার সৃষ্টির শুরুতে শুধু ছিল কম্পিউটারে লেখা কয়েকটা কোড এবং যার ক্রোমোজোম তৈরি করা হয়েছে চার বোতল রাসায়নিক পদার্থ থেকে। তারপর ছত্রাকের দেহে সেই ক্রোমোজোমকে সাজানো হয়েছে এবং সাজানো শেষে তাকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে একটা ব্যাকটেরিয়া কোষে, পরিশেষে যেখান থেকে উদ্ভব হয়েছে একটা নতুন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়াএটাই পৃথিবীর বুকে প্রথম সেলফ রেপ্লিকেটিং ক্ষমতা সম্পন্ন প্রজাতি, যার জন্মদাতা (parent) হচ্ছে একটা কম্পিউটার।
 
ব্যাকটেরিয়ার মত এত নীচুস্তরের এককোষী জীবন ছেড়ে হয়তো সত্যিকারের একটা প্রাণি যে শ্বাস নেয়, প্রশ্বাস ছাড়ে, খায়, ঘুমায় এরকম প্রাণ তৈরি করতে ক্রেগ ভেন্টরদের আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, এককালের গুহাবাসী মানুষ আজ নতুন প্রাণ প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে!
 
‘জলছাপ’ বলে একটা মজার ব্যাপার আছে এই গবেষণায়। একটা কৃত্রিমভাবে তৈরি ডিএনএ অণুকে আলাদা করে বোঝার জন্য এর গঠনের কিছু জায়গায় মূল ডিএনএর গঠন থেকে ইচ্ছাকৃত পরিবর্তন করা হয় আর এটাই হচ্ছে জলছাপ। ব্যাপারটা অনেকটা আসল টাকাকে জাল টাকা থেকে আলাদা করতে যে জলছাপ দেয়া হয় তার মতই। শুধু জলছাপই নয়, আপনার যদি কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে এবং আপনি যদি জানেন কোন পরিবর্তনটি করলে ডিএনএকে বাধ্য করা যায় সেই লক্ষ্য অর্জনে- তাহলে তো কেল্লা ফতে! স্বয়ং ক্রেগ ভেন্টরের কথাই ধরুন। বর্তমানে তার লক্ষ্য হচ্ছে এমন ধরণের কোষ কিংবা অণুজীব তৈরি যে নিজে থেকে মানুষের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। ভেবে দেখুন, যদি সেটা সম্ভব হয় তাহলে আমাদের আর জ্বালানি তেল পোড়াতে হবে না, বিদ্যুতের জন্য যে হাহুতাশ তা দূর হয়ে যাবে চিরতরে, কলকারখানা চলবে এইসব কৃত্রিম কোষ থেকে সরবরাহকৃত শক্তি থেকে। দুনিয়ার চেহারাটাই বদলে যাবে তাহলে।
 
মানুষ এখানে আবির্ভূত হচ্ছে স্রষ্টা হিসেবে যে কিনা প্রকৃতিকে হুবহু অনুকরণ না করে নিজের সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ ঘটাচ্ছে। লক্ষ কোটি বছর ধরে যে কাজটি ছিল প্রকৃতির একচেটিয়া অধিকার কিংবা গর্ব, নগন্য মানুষ সেই অধিকারে, সেই গর্বে প্রথমবারের মত ভাগ বসাচ্ছে। এইসব কাজ, চিন্তাভাবনা কিংবা স্বপ্ন মানুষের শক্তিকে কি প্রকৃতির শক্তির সমকক্ষ করেই তুলছে না? এর ফলে মানুষ কি প্রকৃতির খেয়ালকেই চ্যালেঞ্জ করছে না? চ্যালেঞ্জটা যে খারাপ সেটা আমি বলব না। মানুষ এখন অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল নয় এবং থাকতে চায়ও না। কারণটা বোধগম্য। সুনামি, ভূমিকম্প, অগ্ন্যৎপাত, সাইক্লোন, বন্যা, খরা – এইসব প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মানুষ আগে থেকে অনুমান করতে চায় যাতে সে নিজের ক্ষয়ক্ষতিকে ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারে। ভবিষ্যতে হয়ত এমন দিন আসবে যখন মানুষ এদেরকে  নিয়ন্ত্রণ করতেও শিখে যাবে। সেটা কি প্রকৃতির সাথে মানুষের লড়াইই নয়? এই লড়াই মহাকালের, আপাত অসম এই লড়াইতে এক সময় টিকে থাকাই ছিল যার একমাত্র আরাধ্য সেই মানুষের এমন দিনও আসবে যখন সে জয়ী হয়ে উঠে আসবে, হয়ত আমরা কেউই সেই সময় থাকবো না কিন্তু সবকিছুই থাকবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতের মুঠোয়।
 
প্রকৃতির পায়ে নত প্রকৃতির সন্তান এক সময় প্রকৃতিরই ঈশ্বর হয়ে আবির্ভূত হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন